Wednesday, April 11, 2012

হিন্দি সিরিয়াল দেখা- দোষটা কি শুধু মা-বোনদের?


হিন্দি সিরিয়াল দেখা- দোষটা কি শুধু মা-বোনদের?

লিখেছেন এফ-এম-৯৭, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১১


হিন্দি সিরিয়ালের দর্শক অধিকাংশই মা-বোনেরা, যাদেরকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়-

/ অনেকেই হাতে কোনো কাজ নেই তাই, টাইম পাস করার জন্য হিন্দি সিরিয়াল দেখেন।
/ অনেকে আবার নাটকের কুফল সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও এমনিতেই দেখেন।
/ এরা ভালো মন্দের বাছ-বিচার করেন না। যা দেখবেন তাই ভালো, তাই আধুনিক, তাই সভ্যতা। সিরিয়ালগুলো দেখে মজা পান তাই দেখেন।

প্রশ্ন হলো- আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, খালা, ফুফুএনারা হিন্দি সিরিয়াল কেন দেখেন?
প্রধান কারণই হলো আমাদের স্যাটেলাইটে ভারতীয় চ্যানেলের আধিক্য। দেশের কোন নাটক আমাদের কাছে ভালো না লাগলে, চ্যানেল পরিবর্তন করতে করতে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় চ্যানেলে গিয়েই, হাতের রিমোটটাকে কান্ট্রোল করা বন্ধ করে দেই। সেসব চ্যানেলে সারাদিন নাটক হতেই থাকে।
দ্বিতীয়ত, সিরিয়ালগুলোর জৌলুসপূর্ণ পরিবেশ, তাদের রঙ, ঢং, মেকআপ, স্টাইল, বড় বড় বাড়ি, গাড়ি, দামী শাড়ি, গয়না- শুধু তাই নয়, বরং তাদের ড্রেস পরার ধরনও আমাদের তরূন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করে। এগুলো হচ্ছে নাটকের উপরিভাব। এসবের ছলে নাটকের ভিতরে যা শিখছি, তা আরো মারাত্মক।
ছেলের গায়ে মেয়ের পরে যাওয়া, মেয়ের ওড়না উড়ে ছেলের মাথায় গিয়ে পরা- ভালোবাসার সূচনাটা এসব দিয়েই শুরু। প্রায় মিনিটের মত নাটক এখানেই থমকে দাঁড়ায়। এটাই আপাতত আজকের এপিসোড, পরবর্তী এপিসোড দেখার জন্য অধির অপেক্ষায় থাকে দর্শকরা। বিয়ের আগে অবৈধ সম্পর্ক দেখানোটা, নাটকের রীতিতে পরিণত হয়েছে। আর এগুলো দেখাতে আমরা যেমন দ্বিধা বোধ করি না, তেমনি লজ্জাও পাই না। বরঞ্চ মজাই পাই। এই হল আমাদের অবস্থা!
বিয়ে করাটাকে ঝামেলা আর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে রোমান্টিক করে আমাদের সামনে দেখানো হয়। আমরা হা করে দেখি আর হজম করি। পরকিয়া, সম্পত্তির কারণে ভাই-ভাই ঝগড়া, একে অপরের উপর প্রভাব বিস্তার করার অভিনব কায়দা, স্ত্রীর কুটনৈতিক চাল, ভুল বুঝাবুঝি- এসব যেন নাটকের নিত্য নৈমান্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এসব আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের ধর্ম, পরিবার, সমাজ সমর্থন না করলেও মজা পাই তাই দেখি।
এর সাথে একটা কথা যা না বলতেই নয়- ভারতের নাটকে পরিবারের দাদী, নানী বা প্রধান মেয়ে চরিত্রকে ধর্মীয় ব্যাপারে খুব পন্ডিত হতে দেখা যায় তারা কয়েকদিন পর পর গৃহে শান্তি আনার জন্য পূজার আয়োজন করেন। রামায়নের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে সামাজিক সমস্যার সমাধান বের করার কথা পরিবারের সামনে তুলে ধরেন। আমরা কত জন আমাদের নাটকে আমাদের ধর্মকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি? আমাদের কুরআন, আমাদের হাদিস কি দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান দেয় না? তা নিয়ে তো আমাদের গুণী গল্পকারদের নাটক বানাতে দেখি না। তরূণ মডেলদের তো এসব অভিনয়ে এগিয়ে আসতে দেখি না ভারতীয় সিরিয়ালে গায়েত্রী মন্ত্র শুনতে শুনতে আমাদের তা মুখস্ত হয়ে গেছে। অথচ, আমাদের চার কালিমা আমরা কয়জন মুসলমান মুখস্ত জানি? ভারতীয় সিরিয়ালে তাদের ধর্মীয় কথা শুনতে আমাদের ভালো লাগে আর আমাদের দেশের পরিচালকেরা, গল্পকাররা দর্শক হারানোর ভয়ে ধর্মের কথা বলা তো দূরে থাক, নাটকের মাধ্যমে সমাজে ভালো কিছু দেয়ার কথাও ভাবেন না।
এবার আসি দ্বিতীয় প্রসঙ্গে। দেশীয় নাটকে দর্শক সংখ্যা কম কেন? স্বভাবতই, কোটি টাকা বাজেটের নাটকের সামনে হাজার টাকা বাজেটের নাটকটা একটু ফিকে বলে মনে হবেই। তবে এটা মানতেই হবে হিন্দি সিরিয়ালে যা দেখায় তা আমদের সামাজিক অবস্থার বহির্ভূত। বরঞ্চ আমরা যদি তেমনভাবে চলি তাহলে, সামাজিক বিশৃংখলতা আরো বাড়বে। অপরদিকে আমাদের নাটকগুলো আমাদের সামাজিক অবস্থা তুলে ধরলেও দিন দিন লক্ষ্য করছি- দর্শক বাড়ানোর তাগিদে আমাদের নাটকগুলো ড্রেসের দিক দিয়ে, গল্পের দিক দিয়ে হিন্দি সিরিয়ালের নকল করতে শুরু করেছে।
এবার যে ব্যাপারটা আমাদের বুঝতে হবে তাহল- হিন্দি সিরিয়াল দেখলে ক্ষতি কি? তাদের নাটকের ১০০% খারাপ তা আমি বলি না। কারণ তাদের নাটকেও হাস্যরস থাকে, নাটকীয়তা থাকে, ঢং থাকে- যা দর্শককে বিনোদন দেয়। তবে একজন বিবেক সম্পন্ন মানুষ হিসাবে, সচেতন নাগরিক হিসাবে আমরা কখনোই খারাপ জিনিস দেখতে বা চর্চা করতে পারি না। কিন্তু আমরা দিন দিন সেসব নাটকের কুফলটাই নিজের মধ্যে নিয়ে আসছি। তাছাড়া সত্যি বলতে, খারাপ জিনিস মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে এবং স্মরনে থাকে। আজ আমরা লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করছি তাদের অনুকরণ করে। শাড়ি পরার ধরন শিখছি তাদের দেখাদেখি। আর শাড়ি তো দূরে থাক, টপস আর প্যান্ট পড়তেই আমাদের বেশি ভালো লাগছে। আর আমাদের ভাইরা ইদানিং এমন টাইপের প্যান্ট পড়েন যেন কোমড় থেকে পরে যায়। ভদ্রতা-সভ্যতা কি, আমরা কেন পোশাক পরি, তার সংজ্ঞা আমাদের ভাই-বোনদের ব্রেন থেকে উঠেই গেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের মিডিয়াও আমাদের এমনই শিক্ষা দিচ্ছে। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা নাটকের শুটিং দেখার সৌভাগ্য হলো। নাটকের একটা দৃশ্যে,মেয়েটি টপস আর প্যান্ট পরে চটপটির দোকানে দাড়িয়ে আছে দেখলাম- রাস্তার সবাই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। এমন ড্রেসে থাকলে ছেলেরা তাকাবেই। বর্তমানে আমাদের নাটকগুলোতে এমন ড্রেসেই মেয়েরা উপস্থিত হয়। ওড়না না পরাটাই এখন ফ্যাশন। মেয়েরা তাদের ব্যাপারে সচেতন না আর এর ফয়দা তুলছে মিডিয়া। তাছাড়া শুধু, পোশাক-পরিচ্ছদেই এমন নোংরামী সীমাবদ্ধ থাকছে না। প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক, মানসিক সব জায়গায়। কোন কোন পরিবারে মা-দের সিরিয়াল দেখার নেশা এতই থাকে যে, তারা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পড়ানোর সময় পান না। বরঞ্চ দেখা যায়, ছেলে মেয়েদের নিয়েই নাটক দেখতে বসেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই এরা পরিচিত হচ্ছে অপসংস্কৃতির সাথে।
এবার দেখুন আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা। এরাও গড্ডালিকায় গা ভাসাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নিজ দেশের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, সভ্যতাকে পত্রিকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন সেই সাহসও তাদের নেই। প্রায় একমাস আগে একটা অনলাইন পত্রিকায় চাকরি পেয়েছিলাম। তারা আমাকেলাইফ স্টাইলবিভাগটা সামলাতে বলে। সাথে সাথে এও বলে দেয় যে,বেশি কষ্ট করতে হবে না, শুধু নেট থেকে ভারতেরসানন্দাম্যাগাজিনটা দেখে নিয়ে কপি পেষ্ট করে দিলেই হবে শেষে, না করতে বাধ্য হলাম। এই হলো আমাদের মিডিয়া! আমরা নিজেরাই তো নিজেদের সংস্কৃতির গলায় ছুরি চালাচ্ছি। দোষ দিবো কাকে? তাছাড়া কিছু পত্রিকা আছে, যারা নিজেদের আধুনিক বলে দাবি করেন আরবিনোদনএবংলাইফ স্টাইলপাতার মাধ্যমে, মেয়েদের টপস আর প্যান্ট পরা, স্লিভ লেস ডেস পরা, আর ছেলেদের চুল থেকে শুরু করে প্যান্ট পর্যন্ত এক উদ্ভট সাজে সজ্জ্বিত করাকে সভ্যতা আধুনিকতা বলে প্রচার করেন। আর আমাদের অবস্থা দেখুন, আমরাও কেমন জাতি! মানুষ হিসাবে আমরা কিভাবে চলবো বা আমাদেরকে কোনটা মানায়, সেই দিকে পর্যন্ত আমরা খেয়াল করি না। কোনটা সঠিক ব্যাপারে আমরা সন্ধান করি না। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি। এসব অসভ্যতাকে আধুনিকতা মনে করে হুমড়ি খেয়ে, টাকা দিয়ে কিনি। লজ্জা হয়া উচিত আমাদের।
এবার আমরা একটু স্যাটেলাইট খাতের অর্থনৈতিক হিসাব কসে দেখি, আমরা কোথায় আছি। দেশে প্রায় ২৭২টি চ্যানেল দেখা যায়। যার মধ্যে বাংলাদেশ ৪০টি কিনে নেয়। তার প্রায় সবই ভারতীয়। ভ্যাটসহ স্টার গ্রুপের একটি চ্যানেলের জন্য গ্রাহক প্রতি ৭৩:৩১ টাকা, সনির জন্য ৮৬: ২৫ টাকা দিতে হয়। সেই হিসাবে বছরে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা শুধু মাত্র স্যাটেলাইট খাতে ভারতকে দিতে হয়। শুধু তাই নয়, তারা যদিও আমাদের দেশের চ্যানেল দেখেনা, তবুও আমরা তাদের নাটক দেখার পাশাপাশি তাদের পণ্যের সাথেও দিন দিন পরিচিত হচ্ছি। আফসোস! না আমরা আমাদের দিকে চাকাচ্ছি, না সমাজের দিকে আর না অর্থনীতির দিকে। আমরা টিভিতে বিশৃংখলা দেখছি, সমাজে এর প্রভাব লক্ষ্য করছি, পরিণতি দেখছে, তারপরও আমরা সচেতন হচ্ছি না, দেখা বন্ধ করছি না। আমাদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত না হলে, শেষে সরকার চ্যানেল বন্ধের আদেশ দিলেও(আমি এখন চ্যানেল বন্ধের কথা বলছি না) দেখা যাবে আমরাই এর প্রতিবাদ করছি। তাই সঠিক উপলব্ধি আমাদের মধ্য থেকেই আসতে হবে।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, হিন্দি সিরিয়াল না হয় নাই দেখলাম, কিন্তু নাটক, ফিল্ম, গান এগুলোতো আমাদের বিনোদনেরই অংশ, এবার তাহলে আমরা কি করব? অবশ্যই আমাদেরকে একটা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।
যেমন-/ আমাদের আশেপাশে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। শুধু যে ছেলে-মেয়ে কেন্দ্রিক ভালোবাসা সম্পর্কীয় ঘটনা ঘটে তা কিন্তু নয়। পৃথিবীতে চলতে ফিরতে ঘটনার কমতি হয় না, আর সমস্যাও কম সৃষ্টি হয় না। তাই আমাদের যারা গল্প রচনা করতে জানেন, তারা মানুষের দৈনন্দিন সমস্যাকে তুলে ধরবেন, এবং নাটকের মাধ্যমে তার সুষ্ঠ সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবেন। এতে দর্শকরা বিষয়টি উপভোগের সাথে শিখবে। উদাহরণস্বরূপঃ মিথ্যা কথা বললে মানুষের যে কি পরিমান ক্ষতি হয়, তা কিন্তু ছোট একটা নাটকের মাধ্যমেই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। এটা সত্য, যারা পড়াশুনা করতে জানে না, তারাও টেলিভিশনের দর্শক। আর এই মাধ্যমটি মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। সুতরাং এখনই আমাদের একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। তাছাড়া শুধু নাটক বানালেই হবে না, তার ব্যাপক প্রচারণাও করতে হবে, যাতে মানুষ বিজাতীয় কুসংস্কৃতি ঝেড়ে নিজ দেশের সংস্কৃতি-সভ্যতার প্রতি যত্নশীল হয়।
/ নাটকের মডেলরা (ছেলে-মেয়েরা) শালীন পোশাকে থাকবে। কোনো মেয়ে যদি ইসলামী ড্রেসে হিজাব করে অভিনয় করতে চায়, তাহলে তার জন্যও মিডিয়ার দুয়ার খোলা রাখতে হবে। ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়াকে অনেকেই খারাপ দৃষ্টিতে দেখেন। দেখার পিছনে অবশ্য কারণও আছে। তো, সেই সংজ্ঞাকে পরিবর্তন করতে হবে। সুন্দর গল্প, অভিনয়, সুষ্ঠ মস্তিষ্কের মানুষ দিয়ে মিডিয়া জগৎ সাজাতে হবে।
/ সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়ে মেয়ের অপমান করার চেয়ে গল্প লেখার প্রতিযোগিতা করা হোক। যার গল্প সুন্দর হবে সেটা দিয়ে নাটক বানানো হবে। গল্পের বিষয় থাকবে-সামাজিক অবস্থা, বাস্তবতা সমাধান
/ নাটকের মধ্যে অবশ্যই নাটকীয়তা, হাস্যরস থাকবে, তা নাহলে মানুষ মজা পাবে না।
/ অনেক পরিচালক, গল্পকারদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের একটা প্রবণতা থাকে। তারা নবীনদের সুযোগ দিতে চান না। সত্যি বলতে মানুষের কিছু সহজাত প্রবৃত্তি থাকে। মানুষ প্রভাব বিস্তার করতে চায়, দাপট দেখাতে চায়। কিন্তু, প্রত্যেক জিনিসের একটা সীমা থাকে। তেমনি পুরনো ব্যক্তিরা যদি ক্ষমতা আকড়ে থাকেন, নবীনদের সুযোগ না দেন সেক্ষেত্রে আমাদের চলচ্চিত্র তথা নাটক অঙ্গনে আমরা পরিবর্তন দেখার আশা করতে পারি না।
হিন্দি সিরিয়াল দেখার জন্য আমরা অনেকেই একচেটিয়া মা-বোনদের দোষ দেই। নিয়ে পরিবারে অসন্তোষ, মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ব্যাপারটা যদিও হাস্যকর যে, সামান্য একটা টিভি সিরিয়ালের কি জোর যে, সে পরিবারে ঝগড়া লাগাতেও সক্ষম। তা যাই হোক। জোড় করে কিছু আদায় করা যায় না, আর মানুষকে সঠিক জ্ঞানও দেয়া যায় না। তাই তো আল্লাহ তায়ালা কুরআনে হিকমাতের (জ্ঞান) কথা বলেছেন, বিচক্ষনতার কথা বলেছেন। তাই আমাদেরকেও তেমন পরিচয় দিতে হবে। আমরা যদি আমাদের মা, বোন বা স্ত্রীকে বলি-আজ থেকে তোমাকে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে দিবো না, টিভি বন্ধ করোইত্যাদিইত্যাদি। তাহলে কিন্তু হবে না। বরং উপরের সমাধানগুলোর পাশাপাশি তাদেরকে যদি আমরা নম্রতার সাথে বুঝাই, আলাপ আলোচনা করি, কুফলগুলো প্রকাশ করি, তাহলে আশা করা যায়, আমাদের পরিবার সঠিক সন্ধান পাবে। শুধু একটা প্রশ্ন করে দেখুন-তুমি এগুলো কেন দেখো? বাকিটা আপনা আপনি প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সমাধান হয়ে যাবে।
সুতরাং, শুরুতেই, আমাদের ধর্ম-সভ্যতা কি বলে, আমাদের মাটি-দেশ আমাদের কি শিখায়, তা আমাদের বুঝতে হবে। নিজ থেকেই উপলব্ধি করে নোংরা সংস্কৃতির উপর কুঠারাঘাত করতে হবে। আশা করা যায়, এক্ষেত্রে সরকারও আর্থিক সহায়তা করবে আর আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে সুন্দরভাবে নতুন আঙ্গিকে বিশ্বের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে পারবো।

No comments:

Post a Comment